চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্সি ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশের পড়াশুনা
চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্সিঃ
সিএ (চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি) পড়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা কী? এ কোর্স করে আমি কতটুকু লাভবান হতে পারি?
পরামর্শঃ কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেলে অথবা ‘ও’ লেভেলে দুটি বিষয়ে ‘এ’ গ্রেড ও তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেড পেলে এবং ‘এ’ লেভেলে দুটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেড অথবা তিনটি বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড পেলে সরাসরি ভর্তি হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কোর্সের মেয়াদ হবে চার বছর। অথবা যেকোনো বিভাগ থেকে স্মাতক বা স্মাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা ন্যূনতম সাত পয়েন্ট পেলে সিএ পড়তে পারবে। কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে কোর্সের মেয়াদ তিন বছর। এসিএমএ/এফসিএমএ অথবা প্রফেশনাল লেভেল-১ পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি পাবেন এবং তাদের কোর্সের মেয়াদ হবে দুই বছর। বর্তমানে দেশে ও বিদেশে সিএ প্রফেশানালদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সিএ পাস করে অন্যান্য পেশার তুলনায় অনেক বেশি বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। কোনো সিএ চাকরি না করে কনসালটেন্সি অথবা সিএ ফার্ম খুলে নিরীক্ষা পেশায় নিয়োজিত হতে পারেন।
আপনাদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের প্রায় সকল সিএ ফার্মের তালিকা নিচে প্রদান করা হল।
তথ্যপ্রযুক্তিঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই)-এ দুটি বিষয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য কী? চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কতটুকু? আইসিটিতে পড়ে কত বেতনের চাকরি পাওয়া সম্ভব? কলসেন্টারে তথ্যপ্রযুক্তিবিদের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? আইসিটি থেকে তড়িৎ কৌশলে স্মাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া যাবে কি?
পরামর্শঃ কম্পিউটার বিজ্ঞান একটি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার নাম। আর আইসিটি বলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে বুঝায়। চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা, অবস্থান অনেক সময় দেখা হয়। তবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে তা চাকরি দাতাদের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পায়। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করে চাকরির শুরুতেই তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যেতে পারে। কলসেন্টার স্থাপনের সময় শুধু তথ্যপ্রযুক্তিবিদের প্রয়োজন হয়, কলসেন্টার স্থাপনের পর তাঁদের আর খুব একটা দরকার হয় না। আর তথ্যপ্রযুক্তির কোনো শাখায় পড়েও তড়িৎকৌশলে স্মাতকোত্তর পড়া যাবে।তবে এ ক্ষেত্রে তড়িৎকৌশলের প্রাথমিক বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকলে ভালো হয়।